রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০২ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগে নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান। রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে চলে গিয়েছেন। সেখানে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে ১ অক্টোবর থেকে দূতাবাস বন্ধের এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে আফগান দূতাবাস বলেছে, গভীর দুঃখ, অনুশোচনা ও হতাশার সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, রোববার (১ অক্টোবর) থেকে নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাস কার্যক্রম বন্ধ করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লিতে কার্যক্রম বন্ধের জন্য বেশ কয়েকটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছে আফগান দূতাবাস-
১. ভারত সরকারের অসহযোগিতা: গুরত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাজে ভারত সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ করেছে আফগান দূতাবাস। এটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা বাধাগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
২. আফগান স্বার্থপূরণে ব্যর্থতা: নয়াদিল্লির দূতাবাস আফগানিস্তান ও এর নাগরিকদের প্রত্যাশিত স্বার্থ ও প্রয়োজনীয়তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এর জন্যেও অবশ্য ভারত সরকারের অসহযোগিতা ও কাবুলে বৈধ সরকারের অনুপস্থিতিকে দায়ী করা হয়েছে।
৩. কর্মী সংকট: দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা কমে যাওয়ায় কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে উঠেছিল বলে জানানো হয়েছে।
কার্যক্রম বন্ধের পর ভিয়েনা কনভেনশনের নীতি অনুসারে দূতাবাসের সব সম্পত্তি ও স্থাপনা ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জিম্মায় চলে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে দিল্লিতে আফগান দূতাবাস বন্ধ হলেও মুম্বাই ও হায়দরাবাদে আফগান কনসুলেটগুলো চালু থাকবে। উল্লেখ্য, মুম্বাই এবং হায়দরাবাদের কনসাল জোরেলদের এর আগের আশরাফ ঘানির সরকারই নিয়োগ করেছিল। তবে তালেবান ক্ষমতায় আসার কয়ে কমাস পরই নাকি তারা বর্তমান শাসকদের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছিলেন।
ভয়েস/আআ